Search This Post

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে যে বিষয় নিয়ে প্রথম যান্তে হবে

আপনি জানেন কি ইঞ্জিনিয়ার শব্দটি একটি ল্যাটিন শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ হচ্ছে “বুদ্ধিসম্পূর্ণতা”। ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রটি আশ্চর্যজনক ভাবে বিস্তৃত। এই ক্ষেত্রটি হচ্ছে সাগরের মতো। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাধারণ বা প্রধান কিছু বিভাগ / শাখার সাথে আমরা পরিচিত। তবে এই শাখাগুলোর ডালপালা  বিস্তার লাভ করে বিশাল আকারে রূপ নিয়েছে।

তাই আপনি কোন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং বেছে নিবেন, সেটা সিদ্ধান্ত নেয়া আপনার জন্য অনেক কঠিন হতে পারে। একারনে আপনাকে অনেক যত্নশীল হয়ে এই সিদ্ধান্তটি নিতে হবে।

 ইঞ্জিনিয়ারিং এর কিছু কমন শাখা গুলো হচ্ছেঃ

১ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং

২ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

৩ টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং

৪ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

৫ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

আজ আমি আপনাদের সাথে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আলোচনা করবো।

ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং

বর্তমান সময়ের বিদ্যুৎ শক্তির উপর সবকিছু নির্ভরশীল। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ উৎপাদন সরঞ্জাম, বৈদ্যুতিক মোটর, রাডার এবং ন্যাভিগেশন সিস্টেম, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অটোমোবাইল, জাহাজ ও বিমানের বৈদ্যুতিক সিস্টেম প্রভৃতি বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনের সাথে জড়িত থাকেন।

পাওয়ার প্ল্যান্ট, শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক মোটর, অটোমোবাইল, এয়ারক্র্যাফ, স্পেস ক্র্যাফের ইগনিশন সিস্টেম এবং সব ধরণের ইঞ্জিনের ডিজাইন, উৎপাদন এবং পরিচালনা করে। এরা বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহারের উন্নত পদ্ধতি গবেষণা ও ডিজাইন করে। সাধারনত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতির সাথে তড়িৎচুম্বকীয়তত্ত্বের প্রয়োগ।

কাজের ক্ষেত্র:

সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন প্রকৌশল অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী, রেলওয়ে হাসপাতাল ইত্যাদিতে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান যেমন, বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ সংস্থা, টেলিযোগাযোগ ও অপটিক্যাল ফাইবার শিল্প, ন্যাভিগেশনাল সরঞ্জাম উৎপাদন শিল্প, এরোস্পেস শিল্প, অটোমোবাইল শিল্প, নিমার্ণ ও স্থাপত্য সংস্থা ইত্যাদিতে চাকুরীর সুযোগ রয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, মূলত ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে একটি কাজ কত কম সময়ে, কত সহজে, কম খরচে কতটা নিখুতভাবে সম্পন্ন করা যায় সেই প্রক্রিয়া। যে কারনে মানুষের নিত্য জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব অপরিসীম।

উন্নত দেশগুলো এত সাফল্য অর্জন করেছে তার পেছেনে মূল কারন তারা সবাই জীবনের ছোট-বড় সকল ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং জ্ঞান প্রয়োগ করে।

সবাই ভালো থাকবেন

1 Response to "ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আগে যে বিষয় নিয়ে প্রথম যান্তে হবে"

  1. বিল্ডিং ডিজাইনে ফার ক্যালকুলেশন এবং সেটব্যাক রুল এ্যাপ্লাই করা বাধ্যতামুলক।
    FAR এবং Set-Back হিসেব করার উপায় সহজভাবে বোঝানো হয়েছে এই টিউটোরিয়াল সিরিজটিতে।
    Learn With Rony

    ReplyDelete

Contact Us

Name

Email *

Message *